ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এফএনএস স্বাস্থ্যপাতা: শিশুর শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ সময় এক থেকে পাঁচ বছর। এ সময়েই শিশুর খাবার গ্রহণ ও বর্জনের বিষয় রপ্ত হয়। তাই শিশুর প্রতিদিনের খাবারে ভিটানি ‘এ’ থাকাটা অপরিহার্য। এই ভিটামিন সাধারণত প্রাণীদেহে ও ক্যারোটিনসমৃদ্ধ শাকসবজিতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে হলুদ, কমলা, সবজি ও ফলের ভেতর ভিটামিন ‘এ’ আছে। দেহের ক্ষুদ্রান্তে ভিটামিন ‘এ’ শোষিত হয় চর্বির সঙ্গে। যেসব রোগে দেহে চর্বি শোষণে বিঘœ ঘটে, এতে ভিটামিন ‘এ’ শোষণ ও বাধাগ্রস্ত হয় এবং শরীরে এর অভাব দেখা যায়। গবেষণায় প্রমাণিত, নবজাতকের যকৃতে কতখানি ভিটামিন ‘এ’ সঞ্চিত থাকবে তা নির্ভর করে মায়ের রক্তে কতখানি ভিটামিন ‘এ’ ছিল তার ওপর। দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ দেওয়ার সময় মায়ের খাদ্যের গুণাগুণ শিশুর বৃদ্ধির হারের ওপর নির্ভরশীল। এজন্য মা ও শিশুর খাদ্যে রঙিন ফল ও শাকসবজি এবং দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম সবই যেন থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশুর দৈনিক ভিটানি ‘এ’-এর চাহিদা ২৫০০ আইইউ। আমাদের দেশে প্রতি বছরই শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ নষ্ট হয় না। তবে ফ্রিজে জমিয়ে রাখা মাখনে কিছুটা খাদ্যগুণ নষ্ট হয়। যেসব গরুকে টাটকা সবুজ খাস খাওয়ানো হয় না সেসব গরুর দুধে ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি দেখা যায়। দেহের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ছাড়াও ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে তিন ধরনের চক্ষুরোগ হয়ে থাকে। যেমন রাতকানা, চক্ষু শুষ্কতা ও ক্যারাটোম্যালেসিয়া।
ভিটামিন ‘এ’-এর উৎস
গাজর, ভুট্টা, আপেল, পাকা আম, পাকা পেঁপে, লাল আঙুর, ক্যাপসিকাম, রাঙা আলু, মিষ্টি কুমড়া, লেটুস পাতা, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, সজনেপাতা ইত্যাদি। মাছের মধ্যে মলা ও ঢেলা মাছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ আছে। এ ছাড়া মাখন, ডিম, কলিজা, কডলিভার অয়েল, ঘি, দুধ, গরু-খাসির মাংসে ভিটামিন এ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিতো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না