ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে বেশ কয়েক বার মৃত্যুর মুখে ধাবিত হয়েছি: তথ্যমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমার কাছে জীবন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়া। ¯্রােতের বিপরীতে হেঁটে চলা। জীবন চলার পথে অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হবে, জয়ী হতে হবে। রাজনীতিবিদদের কাছে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চলা। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে বেশ কয়েক বার আমি মৃত্যুর মুখে ধাবিত হয়েছি। গতকাল শনিবার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউল্যাবের ভিসি ইমরান রহমান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকতাম না কেন বাবাকে প্রতিদিন একবার করে ফোন করতাম। সেই ফোন করা একদিন থেমে গেলো। মাথার ওপরের আকাশটা সরে গেলো। সেটা মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তোমাদেরও জীবন চলার পথে এমন ঘটনা ঘটবে। কিন্তু থমকে দাঁড়াবে না। জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্বপ্ন দেখতে হবে, তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে। স্বপ্নের সঙ্গে চেষ্টা যুক্ত হলে তোমাদের মধ্যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স তৈরি হবে। এই ফোর্স তোমাদের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম ও স্টিভ জবসের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য কখনও বাধা হতে পারে না। হাত না থাকায় এক পা দিয়ে লিখেও দেশের উত্তরবঙ্গের একটি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সুতরাং কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়। এটি হচ্ছে মনের দুর্বলতা। যে ভয়কে জয় করতে পারবে, প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলতে পারবে, সে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবে। হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউল্যাব তাদের শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউল্যাব ভিন্ন ধ্যান-ধারণা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মার্কেট ডিমান্ড অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও কারিকুলাম তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রে ইউল্যাব একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। এখানে চমৎকার পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পরিপূর্ণ মানুষ তৈরির কারখানা। ইউল্যাব সেভাবে তাদের কারিকুলাম তৈরি করেছে এবং শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলছে বলে আমি বিশ্বাস করি। ইউল্যাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আনিস আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিতো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না