কলারোয়ার চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহানিমা আক্তার লতাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনপুর হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন।

চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকা, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রারে অগ্রিম স্বাক্ষর করে রাখা, নারী কেলেংকারি, ফান্ড তছরুপ, রেজুলেশন খাতা নিজের কাছে জিম্মি করে রাখা, হিসাব-নিকাশ দাখিল না করা, বিদ্যালয়ের আড়াই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত, ম্যানেজিং কমিটির সভায় উপস্থিত না হওয়াসহ নানান অনিয়মের কারণে গত ২৩ জুন ম্যানেজিং কমিটির সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে আনছার আলীকে বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগেও তাকে লিখিত ও মোখিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছিলো। এমনকি তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও আছে।

- Advertisement -

তিনি আরো জানান, ২৬ জুন ম্যানেজিং কমিটির আরেক সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহানিমা আক্তার লতাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে, একই দিন বুধবার চেয়ারম্যান কর্তৃক হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী।

এদিন বিকেলে উপজেলা উন্নয়ন কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১৩ আগস্ট শেষ হবে। বিগত দুই বছর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অনিয়মের কারণে আমি বিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে পারিনি। গত ১২ জুন আমাকে কিছুই অবগত না করে একটি মনগড়া মিটিং করে। ওই দিন আমি বিদ্যালয়ের কাজে বিধি অনুসরণ পূর্বক যশোর শিক্ষা বোর্ডে যাই। পরবর্তীতে একই মাসে ২৩ জুন বিদ্যালয়ের ছুটির মধ্যে আমাকে কিছু না জানিয়ে সভাপতি তার নিজ বাড়ীতে মিটিং দেখিয়ে নোটিশ না দেয় ও মূল রেজুলেশন খাতা ছাড়া বিধি-বহির্ভূত ভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি, তবে কোন চিঠি বা নোর্টিশ দেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সভাপতির একক সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়ের ১৮টি দোকান ঘরের ভাড়া উত্তোলন করে। যা অদ্যবধি কোন হিসাব দেয়নি। যেটার হিসাব অনুযায়ী ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মতো হবে। পরবর্তীতে সাড়ে ৩ শত টাকার স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিতে বলেন। ৫ মে হঠাৎ বিদ্যালয় চলাকালে আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমার উপর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান তিনি। আমি এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি ৭ ধারায় মামলা করি। এসব কারণে সভাপতি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মনগড়া একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধ ভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। যার কোন বৈধ্যতা নেই।

এই বিভাগের আরও সংবাদ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিতো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না