আশাশুনির আনুলিয়ায় প্রতারক ঝর্ণা খাতুনের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় ঝর্ণা খাতুন নামে এক প্রতারক মহিলার খপ্পরে পড়ে ৩৫ পরিবার সর্বশান্ত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিছট খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধের উপর প্রতারক ঝর্ণার গ্রেফতারের দাবিতে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। প্রতারক ঝর্ণা বিছট গ্রামের ফজলু মোড়লের স্ত্রী।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী বিছট গ্রামের কামরুল ইসলামের স্ত্রী মনিরা পারভিন বলেন, রিছট গ্রামের ফজলু মোড়লের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি সংস্থা ব্রাক, ইসলামী ব্যাংক , আশা,গণমুখী ও গ্রামীণ ব্যাংকের সভা নেত্রীর দায়িত্ব পালন করে আছেন।

- Advertisement -

প্রতিটা সমিতির কর্মকর্তারা তার বাড়িতে বসে সদস্যদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করেন। সেই সুবাদে অসাধু কর্মকর্তাদের জোক সাজে সমিতির অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ৩৫ পরিবারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অসুস্থতার ভান করে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রতারক ঝর্ণা।

শুধু মনিরা নয় ময়না, সুমাইয়া, অনিতা, শরিফা, আলাপি রেখা, শাহানারা, মুসলিমা, কাকুলি সুমিতা সাজু লতিফা মনিকা,মঞ্জুয়ারা, রোজিনা, রাশিদা অভিযোগ করে বলেন, খোলপেটুয়া নদীতে সারাদিন নদীতে মাছ ধরে অর্জিত টাকা ঝর্ণার হাতে তুলে দেয়। ঝর্না আমাদের নিঃস্ব করে চলে গেছে। আমরা এখন কি করবো কোথায় থাকবো কোথায় কি করব আমরা বুঝতে পারছি না।

মানববন্ধন থেকে প্রতারক ঝর্না খাতুনের গ্রেপ্তার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।অভিযুক্ত ঝর্ণার স্বামী ফজলু মোড়ল বলেন, এত মানুষের কাছ থেকে আমার স্ত্রী টাকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমার যা নিয়ে কেউ টাকা দেয়নি। তবে স্ত্রী অসুস্থতার কারণে বাইরে রয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে বাসায় ফিরবে। আমার স্ত্রীর কাছে টাকা পেলে প্রত্যেকের টাকা ফেরত দেয়া হবে।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, ঘটনাটি আপনার মুখে শুনলাম। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও সংবাদ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিতো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না