অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
ভারতের পালওয়াল, হাথিন এবং গুরগাঁও এলাকায় এখন থেকে বিয়ে করার আগে বরকে উকিল-ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে একটি অদ্ভূত এফিডেভিট করতে হবে। এতে লেখা থাকবে- বরের বাড়িতে শৌচাগার অর্থাৎ টয়লেট রয়েছে।
এই হলফনামা না থাকলে কোনো পুরুষ ‘আইনত’ বিয়ে করতে পারবে না। একই সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে মদ্যপানের আলামত পাওয়া গেলে কিংবা ডিজে পার্টির আয়োজন করা হলে কাজি সাহেব বিয়ে পড়াবেন না। পালওয়াল, হাথিন এবং গুরগাঁও এলাকার মুসলিম পঞ্চায়েত স্থানীয় আলেম-ওলেমাদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নবভারতটাইমস.কম জানায়, গত শুক্রবার পালওয়ালের মামোলকা গ্রামে এক পঞ্চায়েত সভা ডাকা হয়। এতে পালওয়াল ছাড়াও আশাপাশের হাথিন ও গুরগাঁওয়ের সাত শতাধিক বাসিন্দা অংশ নেয়। এখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিয়ের আগে কনেপক্ষকে হলফনামার মাধ্যমে বরপক্ষ এই নিশ্চয়তা দেবে যে তাদের বাড়িতে গোসলখানা-পায়খানা রয়েছে। এমন হলফনামা দেওয়ার পরই বিয়ের যাবতীয় রীতি-রেওয়াজ শুরু করা যাবে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও হিমাচল রাজ্যের ১১০টি গ্রামের আলেম-ওলেমারা প্রস্তাব করেছিলেন, যে বাড়িতে টয়লেট নেই তেমন বাড়িতে যেন নিজ কন্যাদের বিয়ে না দেন অভিভাবকরা।
উত্তর ভারত জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ নেতা মওলানা মোহাম্মদ কারিমির মতে, বাড়িতে শৌচাগার না থাকলে ঘরের বউ-ঝিদের প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য অন্ধকার স্থানে বা নিরালা স্থানে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের নিরপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে শৌচালয় থাকা বিষয়ক এই এফিডেভিড প্রসঙ্গের অবতারণা হয়েছে।